দেখতে দেখতে চলে আসলো আমাদের মহান বিজয় দিবস। হয়ে যাচ্ছে স্বাধীনতার ৫১ বছর। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, ত্যাগ এর পর যেই দিন আমরা বিজয় অর্জন করেছি তাই হলো বিজয় দিবস। তাই যদি বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি করতে চায় তাহলে তা ভুল হবে না। কিন্ত কথা হচ্ছে কোথায় পাবে এমন কিছু কবিতা যা সকলের পছন্দ হবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিবে!
মহান বিজয় দিবস আবু জাফর
যখন বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি করতে যাবেন, দেখা উচিত কোন কোন কবি সাহিত্যিক গন এই সম্পর্কে কবিতা লিখে গেছেন। এতে পরিশ্রম এবং দুশ্চিন্তা উভয় কম হয়ে যাওয়ার সম্বাভনা থাকে। এমন ই একটি মাস্টারপিছ কবিতা হচ্ছে আবু জাফর স্যার এর লেখা “মহান বিজয় দিবস”।
একবার দেখে নিতে পারেন হতে পারে এটি হয়ে যাবে আপনার মন মতো বিজয়ের শুভেচ্ছা। তো চলুন এগিয়ে যাই এবং দেখে নিই বিজয়ের সেরা কবিতা “মহান বিজয় দিবস”।
মহান বিজয় দিবস
– আবু জাফর
মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর, বাঙালি জাতির অহঙ্কার,
এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত এ-হোক মোদের অঙ্গিকার।
একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,
২৬মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল ৯মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।
ত্রিশ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বিসর্জন,
অবশেষে হানাদার পাকিস্তান বাহিনী করলো আত্মসমর্পণ।
সেদিন তারা বাঙালিদের কাছে করেছিল শীর অবনত,
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।
মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে দাঁড়িয়েছিল রুখে,
জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পড়েছিল পাষান বেঁধে বুকে।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা,
ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।
জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,
এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;
৪৪বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?
কপিরাইট – ইন্টারনেট!
মনে হয়ে উক্ত কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে এবং বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। যদি আরো বিজয় দিবসে আবৃত্তির কবিতা চান তাহলে এই পোস্টের নিচের দিকে দেখতে পারেন। কারন এখানে রয়েছে সেরা উপায় এবং সংগ্রহ বিজয় দিবসের কবিতার। এগুলো দেখার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো এই পোস্টের নিচের দিকে যেতে হবে যেখানে একের পর এক কবিতা সাজানো রয়েছে।
বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২
সময় যায় মানুষ বদলে যায় কিন্ত আমাদের খেয়াল রাখতে হবে আমাদের ভদ্রতার-সভ্যতার চক্করে আমাদের সংস্কৃতি না বদলে যায়। পূর্বেও বিজয় দিবস এসেছে, লেখা হয়েছে কবিতা। ২০২২ এ এসে কী বা নতুন! সেটি হচ্ছে আমরা নিজেরা নতুন। সেই ভাবেই আমরা এর আনন্দ নিতে পারি। আমাদের কবি প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে লিখতে পারি এবং জন্মদিতে পারি বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২।
লেখা যে প্রফেশনাল হতে হবে এবং সবার সামনে দেখাতে হবে এমন না। আপনি লিখুন এবং চাইলে খাতার পাতাতেই রেখে দিন। অথবা ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২। আমাদের মতো সাধারনের লেখা কিছু কবিতা দেখে নিই যা আপনার জন্য অনুপ্রেরনা মূলক হতে পারে।
মহান বিজয় দিবস
আবু জাফর বিঃ
মহান বিজয় দিবস ১৬ই ডিসেম্বর, জাতির অহঙ্কার,
এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত, এই হোক অঙ্গীকার।
একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,
২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়, ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।
ত্রিশলক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত দিয়েছিল বিসর্জন,
অবশেষে হানাদার পাকিস্তানবাহিনী করলো আত্মসমর্পণ।
বীর বাঙালিদের কাছে তারা করেছিল শির অবনত,
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছে, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।
মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে, দাঁড়িয়েছিল রুখে!
জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাষাণ বেঁধে বুকে।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা;
ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।
জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,
এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;
এত বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?
দূর করতে হবে বৈষম্য বিভাজন, চাই অর্থনৈতিক মুক্তি,
রুখতে হবে সকল বঞ্চনা, আছে ষোল কোটি জনশক্তি।
লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত গৌরবময় এ বিজয়,
সকলে মিলে গড়বো দেশ, মানবো না কোনো পরাজয়।
কপিরাইট- Banglarkobita.com
লেখার সাহস ও আত্মিক সম্মাননার জন্য হলেও মহান বিজয় দিবসের কবিতা ২০২২ লিখার চেস্টা করা দরকার। আপনি চাইলে আমাদের কবিতা গুলো আবৃত্তি করতে পারেন।
বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা
আমাদের গর্বের এই দিন নিয়ে অনেক কবিতা লেখা হয়েছে। যার মধ্যে কিছু কবিতা হয়ে রয়েছে চির অমর। যা আমরা কখনোই ভুলতে পারি না। আপনার ভাষায় সেটি হতে পারে বিজয় দিবস নিয়ে বিখ্যাত কবিতা । যারা তাদের জীবন দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তাদের সম্মনে বিখ্যাত কবিতা না দিয়ে কোন উপায় আছে কী! তাই দেখে নিন বিজয় দিবস নিয়ে কিছু বিখ্যাত কবিতা-
এসো খোকা এসো খুকু
ঘুমিয়ে থেকো না আর
তাকিয়ে দেখ সম্মুখে তোমার
মুক্ত আলোর দুয়ার।
চলো খোকারা চলো খুকুরা
হও প্রাণ উচ্ছল
জাতি হিসেবে স্বাধীন তোমরা
রেখো দৃঢ় মনোবল।
তোমাদের পিতা তোমাদের মাতা
ছিলো এ দেশেরই সন্তান
স্বাধীন করতে এ দেশ তারা
করেছেন জান কোরবান।
তাদেরই আশিস পেয়েছো তোমরা
গড়ে তুলবে এ দেশ
সাজিয়ে দিও বাংলাদেশেরে
প্রাণ করে নিঃশেষ।
কপিরাইট-ইন্টারনেট
ঘুঘু পাখির বিজয়
একটি ঘুঘুর দুইটা ছানা তিড়িং বিড়িং নাচে
দূরের বনে বসতি তাদের শিউলী ফুলের গাছে।
হাসতো রোজই খেলতো রোজই ঘুরতো তারা বনে
বনটা তাদের মায়ের মতোই ভাবনা পুষে মনে।
একদা বনে আসলে শকুন করলো আদেশ জারি
থাকতে বনে রাখবে মনে আমার হুশিয়ারি।
কিন্তু ঘুঘুর বাচ্চা দুটো ভীষণ প্রতিবাদী
থাকবো নাকো রাজার শানে, এক কথা এক দাবি।
শুনেই শকুন চমকে উঠে দেখবো বেটা নবাব
রক্ত আগুন বুলেট ছুড়ে দিবোই কথার জবাব।
দেখবি তখন বুঝবি বাছা মরার কেমন সাধ
ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয়ের প্রতিবাদ।
কিন্তু মায়ের হাজার-বারণ হৃদ মাজারে ভয়
ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয় বাংলা জয়।
ছেলের মায়া প্রাণের মায়া আজকে মাগো থাক
বনটা জুড়ে রক্ত আগুন যুদ্ধে যাবার ডাক।
এমনি করে ঘুঘুর ছানা জয়ের মুকুট পরে
যুদ্ধ শেষে বীরের বেশে ফিরলো মায়ের ঘরে।
সেদিন থেকেই ওই পতাকা লাল-সবুজে আঁকা
বিজয় তুমি দেশ ও জাতির স্বপ্ন কাজলমাখা।
কপিরাইট -ইন্টারনেট
বিজয় দিবসের দেয়ালিকা
বিজয়ের আনন্দকে ছড়িদিতে দেয়ালিকার কোন বিকল্প নেই। তো আপনার দেয়ালিকা কীভাবে হবে সবার থেকে আলাদা? সকল সেরা বিজয় দিবসের দেয়ালিকা এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
![]() |
বিজয় দিবসের দেয়ালিকা |
![]() |
![]() |
বিজয় দিবসের দেয়ালিকা |